রাজশাহী প্রতিনিধিঃ রাজশাহী-৬ বাঘা-চারঘাট আসনের নির্বাচনী সমীকরণে এগিয়ে আছে নৌকা মার্কা। প্রতীক বরাদ্দের পরপরই প্রচারনায় নেমেছেন নৌকার প্রার্থী শাহরিয়ার আলম।তিনি ভোটারের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। আবারও নির্বাচিত হলে ধারাবাহিক উন্নয়নের ধারা বেগবান হবে বলে আশ্বাস দিচ্ছেন ভোটারদের।
অপরদিকে নৌকার নিকট প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী রাহেনুল হক রায়হান কাঁচি মার্কা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী প্রচার প্রচারনায় সক্রিয় ভাবে মাঠে রয়েছেন। রায়হানের সাথে রয়েছেন বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাস আলী, উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড.লায়েব উদ্দিন লাভলু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোকাদ্দেস আলী। তবে এখন পর্যন্ত নির্বাচনী সমীকরণে এগিয়ে রয়েছে নৌকা।
পাকুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ন আহবায়ক সামিউল আলম নয়ন সরকার বলেন, আমার রাজনীতির জীবনে দীর্ঘ সময় ধরে এই দলের সাথে আছি। রাজনৈতিক অঙ্গনে আমার দেখা একজন শ্রেষ্ঠ মানুষ পররাষ্ট্রপতি মন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তার প্রত্যেকটি বিষয়ে যে জ্ঞান গরিমা। সেই বিষয়টা আমাদের মুগ্ধ করে। তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যে উন্নতি ঘটিয়েছেন তা বর্ণনা অতীত। সেটা বর্ণনা করলে বড় একটি প্রবন্ধ রচনা হয়ে যায়। উনি একজন সফল রাজনীতিবিদ। তিনি বাঘা উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি। এমন কোন আওয়ামী লীগ নেতা নেই যারা তার স্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এমন কোন অসহায় কর্মী নেই যাহারা শারীরিক- মানসিক অর্থনৈতিক ভাবে তার কাছ থেকে সাহায্য পাননি। তিনি এলাকায় এলে সকাল থেকে রাত একটা দুইটা পর্যন্ত সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে থাকেন। তিনি ভাবেন কিভাবে সাধারণ মানুষের পাশে থাকা যায় তাদের দুঃখ দুর্দশা দূর করা যায়। প্রতিটা শীতে বাঘা চারঘাট অসহায় মানুষের জন্য দুই টাক করে কমল নিয়ে আসেন। দেশের যে কোনো ক্রাইসিস মুহূর্ত এলে সাধারণ মানুষের জন্য তিনি চাল, ডাল, তেল দিয়ে সাহায্য করেন।
যাদের চিকিৎসার টাকা নেই তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ান, একজন ব্যক্তির চক্ষু অপারেশনের টাকা নেই, হার্ট অপারেশনের টাকা নেই, তিনি তাদের সর্বোচ্চ অর্থ দিয়ে সহায়তা করে থাকেন। তিনি বাঘা-চারঘাট এর যে উন্নয়নের অবকাঠামোর পরিবর্তন করেছেন তা বিগত ৫০ বছরে হয়নি। কিন্তু শাহরিয়ার আলম একাই তা করেছেন। একটিবার তাকালে দেখবেন, বাঘা- চারঘাটের রাস্তা-ঘাট স্কুল প্রতিষ্ঠান, বাজার। একটিবার আড়ানীর দিকে তাকালে দেখবেন, তিনি নিজ অর্থায়নে একটি শিশু হাসপাতাল গড়ে তুলেছেন, একটি ফায়ার সার্ভিসের জমি কিনে সেখানে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন করেছেন। পদ্মা নদীতে বাঁধ নির্মাণ করেছেন।এতে হাজার হাজার বিঘা জমি ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেয়েছে। এখন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যে হাওয়া বইছে। তার বিপক্ষে একজন মানুষ স্বতন্ত দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি ২০ বছর ধরে মাঠে নেই। বিগত বছরের করোনার ক্রান্তি লগ্নে যখন মানুষ সবাই চিন্তিত, তখন মাননীয় শাহরিয়ার আলম অসহায় জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু সেই সময় রায়নুল হক রায়হানকে জনগণ পাশে পাননি। আমি বিশ্বাস করি সাধারণ জনগণ আগামী ৭ জানুয়ারি নৌকা প্রতীককে বিপুল ভোটের ব্যাবধানে জয়ী করে দেশবাসীকে জানিয়ে দেবেন।
তেঁথুলিয়া পীরগাছা টেকনিক্যান এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ও ভোকেশনাল কলেজের প্রভাষক রাশেদুল হক বলেন, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারিতে যে নির্বাচন হতে চলেছে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে যে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন, আপনারা সবাই নৌকা পতিকে ভোট দিবেন। আপনারা কেন শাহরিয়ার আলম কে ভোট দিবেন। কারণ তিনি একজন সৎ মানুষ,যোগ্য ও ভালো মানুষ। বাঘা চারঘাটের উন্নয়নের জন্য যে প্রকল্প গুলো থাকে সেগুলো থেকে তিনি একটি টাকা পয়সাও নেন না। আপনারা বাঘা চারঘাটের উন্নয়নের দিকে তাকিয়ে তাকে ভোট দিবেন। তিনি আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সামনে আমাদের খেলার একটি স্টেডিয়াম এবং ডাক্তারি লাইনের মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট ( ম্যাটস) প্রকল্পটি মাননীয় মন্ত্রীর হাতে রয়েছে। এবং আরেকটি বিষয় তাকিয়ে দেখবেন সেটি হলো আমাদের দীঘা থেকে রাজশাহী, বাঘা, লালপুর ,আব্দুলপুর যেদিকে যাবেন এত সুন্দর যোগাযোগ ব্যবস্থা মনে হয় না আর কোন উপজেলায় আছে।
এ জনপদে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সংঘটিত হওয়ার পরেও অজানা কারণে সাধারণ ভোটারদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তবে আসন্ন এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব শাহরিয়ার আলম এর পরাজয়ে এই জনপদের উন্নয়ন ব্যাহত হবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। আসন্ন রাজশাহী-৬ বাঘা-চারঘাট আসনে ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব শাহরিয়ার আলম এবং কাঁচি প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহেনুল হক রায়হান এর মধ্যে এবারের ভোট যুদ্ধে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করেন সাধারণ ভোটাররা।
Leave a Reply