মেহেরুল ইসলাম মোহন নাটোরঃ নাটোরের লালপুর উপজেলার দুয়ারিয়া ইউনিয়নে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরিব-দুঃখী অসহায় মানুষের মাঝে(ঈদের) চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীরা।ভুক্তভোগীদের দাবী ১০ কেজি করে চাল বিতরণের কথা থাকলেও চেয়ারম্যান ৮ কেজি কেজি করে চাল দিচ্ছেন।চাল কম দেওয়ায় ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন তারা।মঙ্গলবার(৯ এপ্রিল-২৪) সরেজমিনে

দুয়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে সংবাদ কর্মীরা অনুসন্ধান করে জানতে পারেন ১২২৫ জন গরিব অসহায় মানুষের মাঝে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভিজিএফ(ঈদের) চাল বিতরণ করা হচ্ছে।উক্ত চাল ট্যাগ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বিতরণের কথা থাকলেও দেখা মেলেনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার। চাল ওজন করে দেওয়া হচ্ছে প্লাস্টিকের বালতিতে করে।
এদিকে চাল পাওয়া কয়েক জনের চাল অন্য কাটায় ওজন করে ৮ কেজি পাওয়া যায়।
আককাস আলী নামের এক ব্যক্তি বলেন,সকালে আমার ও আমার ভায়রার দুটি কার্ডের চাল ইউনিয়ন পরিষদে তুলতে আসি। পরে চাল তুলে বাইরে ওজন করে দেখি ১০ কেজি করে দেওয়ার কথা থাকলেও ৮ কেজি করে সর্বমোট ১৬ কেজি চাল হয়েছে। তারা চাল ওজন না করে বালতিতে করে চাল দিচ্ছেন। সুমন নামের আরেকজন বলেন, সরকার আমাদের জন্য ১০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিয়েছে। আর তারা ৮ কেজি করে চাল দিচ্ছে। আমরা ২ কেজি করে চাল কেন কম নেব। আমাদের ১০ কেজি করে চাল বুঝিয়ে দিক। দুয়ারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম লাভলু এ সময় পরিষদে উপস্থিত না থাকায় তার মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দেওয়া সত্বেও তিনি রিসিভ করেননি ।তবে এ ব্যাপারে অত্র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন মোল্লা জানান,গতকাল হতেই আমার কাছে এমন অভিযোগ আসছিল । আজকে সরেজমিন ও আমার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান রাজীব সহ সাবেক ইউপি সদস্য জহুরুল ইসলাম এর উপস্থিতিতে চাল কম দেয়ার সত্যতা মেলেছে সেই সাথে পার্শ্ববর্তী দোকানে ওজন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার( ইউএনও) শারমিন আখতার বলেন,প্রতিজনকে ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার নিয়ম। কিন্তু কেন চাল কম দেওয়া হচ্ছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।