মেহেরুল ইসলাম মোহন নাটোরঃ নাটোরের লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের গন্ডবিল গ্রামের আরজেত আলীর(২ হাত কাটা) ছেলে আঃ ছালামকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)নাটোর এর তদন্ত রিপোর্ট ‘পজিটিভ’ (ইতিবাচক) হিসেবে দেখছেন তার পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসী।তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তারা।
বৃহস্পতিবার(২৫ এপ্রিল-২৪) দুপুরে আরজেত আলীর সাথে কথা হলে সংবাদ কর্মীদের মাঝে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি।
পিবিআই এর তদন্ত রিপোর্ট পর্যবেক্ষন করে দেখা যায় পূর্ব ঘটনার কয়েকদিন পূর্বে আঃ সালাম একই এলাকার ছাবেদ আলী ও তার স্ত্রী শেফালী বেগমের শয়ন কক্ষের মধ্যকার গোপন ছবি মোবাইল ফোনে তোলে এবং তা সালাম নিজেই বেগম খাতুনকে বলে দেয়।পরে এ নিয়ে শত্রুতার সৃষ্টি হয়।এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩০শে মে ২০২২ ইং তারিখ রাত্রি আনুমানিক সাড়ে ৭ টার দিকে পিটিয়ে আহত করা হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যায়।পরে অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ০১/০৬/২০২২ ইং তারিখ বিকেল ৬টা ১৫ মিনিটে আঃ সালাম মারা গেল আরএমপি রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়।
এর আগে ঘটনার দিনই ২ হাতকাটা আরজেত আলীর সঙ্গীয় ভাতিজা বাদী হয়ে লালপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন এবং আঃ সালামের মৃত্যুর পরে তার মা সালেহা বেগম বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ সহ আরো অজ্ঞাত নামা ২/৩ জনের নামে নাটোরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-লালপুর এ একটি মামলা দায়ের করেন মামলা নং সিআর-১৭৫/২২ লাল।এবং লালপুর থানার অভিযোগ পত্র নং ৪৫৩ অনুযায়ী আদালতে বিচারের নিমিত্তে কয়েকজন অভিযুক্তদের অপরাধ প্রমাণিত না হলে বাদী না রাজির আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে অধিতর তদন্তের জন্য পিবিআই নাটোর জেলা কে নির্দেশ প্রদান করে।এরই ধারাবাহিকতায় পিবিআই নাটোর এর পুলিশ পরিদর্শক নাসিরুল ইসলাম এর সুষ্ঠ তদন্ত করে তদন্ত রিপোর্ট হাত কাটা আরজেত আলী,তার স্ত্রী সালেহা বেগম ও স্থানীয়দের উপস্থিতিতে পড়িয়ে শোনায়ে তদন্ত রিপোর্ট আদালতে দাখিল করেন।
পরে তদন্ত রিপোর্ট আদালত হইতে নিহত আঃসালামের পরিবার হাতে নেয়।তদন্ত রিপোর্ট দেখে তার পরিবার সহ স্থানীয়রা বর্তমানে সন্তোষ।
Leave a Reply