বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘায় ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আ’লীগের লগি বৈঠার পল্টন ট্রাজেডি দিবস উপলক্ষে জামায়াতের আয়োজনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৯অক্টোবর) বিকেল ৩টায় উপজেলা সদর ঐতিহাসিক শাহী মসজিদ এর দক্ষিন পাশে সমাবেত অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বাঘা উপজেলা জামায়াতের আমীর আব্দুল্লাহ আল-মামুন নুহু এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,রাজশাহী মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারী জনাব মোঃ ইমাজ উদ্দীন মন্ডল। বিশেষ অতিথি হিসেবে হিসেবে বক্তব্য রাখেন,রাজশাহী পূর্ব জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী অধ্যক্ষ মোঃ নাজমুল হক,রাজশাহী জেলা পূর্ব জামায়াতের সাংগঠনিক মো:গোলাম মুর্তজা,রাজশাহী মহানগর জামায়াতের যুব বিভাগের পরিচালক ও রাজশাহী মহানগরী সুরা ও কর্ম পরিষদ সদস্য মো: জসীম উদ্দীন সরকার,
আরও উপস্থিত ছিলেন,বাঘা উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর মাও:জিন্নাত আলী,উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাও: আব্দুল লতিফ,উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মো: ইউনুছ আলী,
পৌর জামায়াতের আমীর মো: অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম,পৌর সেক্রেটারি সাবদার আলী প্রমুখ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন,জামায়াতের সুরা ও কর্ম পরিষদ সদস্য সাহাদুল ইসলাম,রেজাউল করিম,বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন বাঘা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক,বাউসা ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মজিবর রহমান,আড়ানী পৌর আমীর মনিরুল ইসলাম,পাকুড়িয়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাহবুব আলী,বাঘা উপজেলা শিবির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ,উত্তর শাখা সভাপতি তরিকুল ইসলাম,সাবেক রাজশাহী জেলা পূর্ব ছাত্রশিবির সভাপতি সবুজ মাহমুদ, সাবেক বাঘা উপজেলা শিবির সভাপতি আইয়ুব আলী,রায়হানুল হক,আ: মমিন,মাহাবুল ইসলাম।
সমাবেশে বক্তারা বলেন,গত ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর এযাবৎ কালের ইতিহাসে সংগঠিত অপরাধের নিকৃষ্টতম একটি দিন। এই দিনে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইটে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পূর্বঘোষিত সমাবেশে শেখ হাসিনার নির্দেশে সন্ত্রাসী সংগঠন যুবলীগ,যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এইদিন লগি বৈঠার তাণ্ডবে দেশ,রাজনীতি,সমাজ তার পথ হারিয়েছিল। মানবতার মৃত্যু হয়েছিল। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত যাদের হত্যা,খুন,গুম করা হয়েছে প্রত্যেকটি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেন বক্তারা। এছাড়া এসকল হত্যা,খুন,গুমের হুকুমদাতা হিসেবে পালাতক স্বৈরশাসক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বোচ্ছ শাস্তি নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়।
এদিকে,দুপুর থেকেই মিছিল নিয়ে বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মীরা সমাবেস্থলে এসে যোগ দেন। সমাবেশ শুরুর আগেই ঐতিহাসিক তেঁতুল তলার মাজার ও আশপশের এলাকা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। উল্লেখ্য,দীর্ঘদিন সময় পর জামায়াতের এমন নজিরবিহীন সমাবেশ দেখতে আশপাশের দোকানী,ব্যবসায়ী ও উৎসুক জনতার ব্যাপক ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
Leave a Reply