তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোরের কামারগাঁ ইউনিয়নের(ইউপি)শ্রীখন্ডা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে কম্পিউটার শিক্ষক তৌহিদুর রহমান নিজেই কম্পিউটার চালাতে পারেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।শিক্ষার্থীদের অভিযোগ তৌহিদুর স্যার
কম্পিউটার চালাতে না পারায় তারা দীর্ঘদিন ধরে কম্পিউটার শিক্ষা (হাতে-কলমে) অর্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তারা বলেন, সরেজমিন তদন্ত করলেই এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে। এছাড়াও স্কুুুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস নেয়া হয় না।এঘটনায় এলাকার অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান,বিগত ১৯৯৪ সালে রাজনৈতিক নেতার ইচ্ছে পুরুণে রাজনৈতিক বিবেচনায় শ্রীখন্ডা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন এবং ২০০২ সালে এমপিওভুক্ত করা হয়। বিদ্যালয়ে ১১ জন শিক্ষক ও ৬ জন কর্মচারী রয়েছে।
এদিকে অদক্ষ শিক্ষককে অপসারণ করে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন দক্ষ কম্পিউটার
শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে গত ৩ নভেম্বর রোববার এলাকাবাসি ডাকযোগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও আঞ্চলিক শিক্ষা কর্মকর্তার (ডিডি) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। স্থানীয়রা বলছে, শিক্ষক
তৌহিদুর কম্পিউটার পরিচালনা করতে না পারলেও প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে বসে বসে সরকারি বেতন-ভাতাসহ সকল সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করছেন যেটা নীতিমালা পরিপন্থী।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, নীতিমালায় বলা আছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের
কম্পিউটার শিক্ষককে ওয়েবসাইট তৈরীসহ (অনলাইন)-এর যাবতীয় কাজ করতে হবে।এছাড়াও কম্পিউটার শিক্ষক
নিয়োগের নীতিমালায় স্পষ্ট বলা আছে সরকার অনুমোদিত চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমি {নেকটার}, জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমি {নেকটার বগুড়া}, ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি মেহেরপুর, যুবউন্নয়ন অধিদপ্তর {মশরপুর নওগাঁ} এসব প্রতিষ্ঠান থেকে সার্টিফিকেট অর্জনকারীদের এমপিওভুক্ত করা যাবে বলে জানান ডিআইএ কর্মকর্তা।
অথচ তৌহিদুর তেমন কম্পিউটার
পরিচালনা করতে না পারায় স্কুলের সিংহভাগ কাজ বাইরের কম্পিউটার
দোকান থেকে করতে হয়। এতে একদিকে প্রতিষ্ঠানের যেমন অতিরিক্ত অর্থ খরচ হচ্ছে, অন্যদিকে তেমনি প্রতিষ্ঠানের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বাইরের মানুষের কাছে চলে যাচ্ছে। শিক্ষার্থী পারভিন, সুফিনা ও পপি বলেন, তাদের স্কুলে কখনই হাতে কলমে
কম্পিউটার বিষয়ে পড়ানো হয় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারী
শিক্ষক বলেন, কয়েকটি পদে জনবল নিয়োগ দিয়ে স্কুলের উন্নয়নে ৫ লাখ টাকা দেয়া হয়েছিল। কিন্ত্ত একটি টাকারও উন্নয়ন কাজ না করে প্রধান শিক্ষক এসব টাকা নয়ছয় করেছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,
কম্পিউটার শিক্ষক সব কাজ পারে না বাইরের দোকান থেকে কাজ করতে হয়, যেটা অনেক স্কুল করে থাকে। আর কিভাবে নিয়োগ হয় কারা দেয় সেটা সবাই জানে স্কুলের ফান্ডে কোনো টাকা দেয়া হয়নি।এবিষয়ে কম্পিউটার শিক্ষক তৌহিদুর রহমান, সরকার স্কুলে কম্পিউটার দেয়নি তাই কম্পিউটার ক্লাস নেয়া হয় না। কম্পিউটার যখন দিবে তখন ক্লাস নেয়া হবে। এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply